এবার হিন্দুত্ববাদীদের আটকাতে ও জনগণকে প্রকৃত হিন্দুত্ব পাঠ পড়িয়ে নিজেদের দিকে আনতে কমরেডদের কড়া দাওয়াই দিল বঙ্গ সিপিএম। সম্প্রতি বামপন্থার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সংঘের কায়দায় শরীরচর্চার প্রস্তাবের পাশাপাশি ধর্মীয়স্থানগুলিতে সদস্যদের যুক্ত হতে নির্দেশ এসছে সিপিএম গোপন পার্টি চিঠিতে। হারানো জমি ফিরে পেতে বঙ্গ সিপিএমের এই দাওয়াইকে কটাক্ষ করেছে আরএসএস। তাঁদের বক্তব্য, ‘ শুধু আমাদের পদ্ধতি শিখলেই হবে না। দেশ ভক্তি শিখতে হবে তো।’
রাষ্ট্রীয় স্বংয় সেবক সংঘ তার জন্মলগ্ন থেকেই শরীরচর্চাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বাংলার বিপ্লবী দল অনুশীলন সমিতি এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সদস্যদের নিয়ে নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা শুরু করেছিলেন বিভিন্ন শাখাগুলিতে। যা আজও বিদ্যমান। বিজেপির বেশিরভাগ অংশই এসেছেন সংঘ থেকে তাঁরা শারীরিকভাবে অত্যন্ত সক্ষম। খোদ রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষও সংঘ থেকে এসেছেন। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। এবং লাঠি খেলাতেও যথেষ্ঠ পারদর্শী।
এবার তবে কি বাংলায় ফিরে আসতে শারীরিকভাবে সক্ষম হিন্দুত্ববাদীদের ঠেকাতেই এই শরীরচর্চার নিদান দিল বঙ্গ সিপিএম।
সম্প্রতি প্রকাশিত ৩ নম্বর পার্টি চিঠিতে তাই কিন্তু বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ক্যাডার ও সদস্যদের সুস্থ এবং সতেজ রাখতে শারীরিক ব্যায়াম আমাদের প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। পার্টি স্কুলের বিষয়ে শারীরিক প্রশিক্ষণকে যুক্ত করতে হবে।’
আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, ‘বিমান বসুর বয়স হয়েছে তিনি যেন শারীরিক কসরত না করেন।’
অন্যদিকে সংঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রধান জিষ্ণু বসু বলেন, ‘শুধু আমাদের পদ্ধতি অনুকরণ করলেই হবে না। ওদের দেশভক্তি শিখতে হবে। ওদের তো দেশ সমন্ধে কোনও ধারণাই নেই। ওরা মনে করে টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে দেশ হিন্দুত্ববাদীদের সাফল্য আসছে বলেই এই নকল করার প্রবণতা সিপিএমের।’
শুধু শরীরচর্চা নয়, বাংলার ধর্মীয় স্থানগুলোতেও নিজেদের দখল কায়েম করতে চায় সিপিএম। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মন্দির এবং অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে আরএসএস এবং তাদের সংগঠনগুলির ওপর ছেড়ে দেওয়া য়ায় না। তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে। সেখানে সিপিএম হস্তক্ষেপ করতে সমর্থ হবে সেখানে মন্দির পরিচালনায় ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতাসম্পন্ন বিশ্বাসী বা ভক্তরা যাতে থাকতে পার তা দেখতে হবে।’ কেরলে নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাও জানানো হয়েছে চিঠিতে। এতদিন বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে বইয়ের স্টল দিলেও কখনও সরাসরি সিপিএমের নেতা-কর্মীদের এতে যোগদান করতে শোনা যায়নি। বরঞ্চ তা ছিল দলের নীতি বিরুদ্ধ কাজ। তাই ভারতের ধর্মীয় মনীষিরা চিরকালই ব্রাত্য ছিলেন সিপিএমের কাছে।
প্রাক্তনমন্ত্রী সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা সুভাষ চক্রবর্তী একবার তারাপীটে গিয়ে মা কালীর দর্শন করেছিলেন বলে ব্যাপক সমলোচনার মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে সিপিএমে যুব ও মহিলা সদস্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাম ভোট রামে চলে যাওয়া তবে কি সিপিএমকে বাধ্য করছে কট্টর নাস্তিকতার আওতার বাইরে বেরিয়ে নরম হিন্দুত্বের কথা বলতে। ইতিমধ্যেই দলের বিভিন্ন পোষ্টার ও লেখায় কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ, চৈতন্যদেব বা বিবেকানন্দ উদ্ধৃতি কিন্তু তারই ইঙ্গিত বহন করে।
বিষয়টি নিয়ে সংঘের দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্র প্রচারক বিপ্লব রায় বলেন, ‘ আরএসএসের আদলে যুবক বিমানদা ও অনান্যরা কিশোর বাহিনী সংগঠন শুরু করেছিলেন। সেই সংগঠনের তো নাম গন্ধ শোনা যায় না। আরএসএসওয়ালারা ৯৫ বছর ধরে নিজের ট্যাঁকের পয়সা খরচ করে ঘরের খেয়ে মনের মানুষ খোঁজা, আর একসঙ্গে চলা-একসঙ্গে বলা-একসঙ্গে করা- এটুকু করেছে মাত্র। আজও করে। ওঁনারা আবার চেষ্টা করুন।
যুগশঙ্খ
রাষ্ট্রীয় স্বংয় সেবক সংঘ তার জন্মলগ্ন থেকেই শরীরচর্চাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বাংলার বিপ্লবী দল অনুশীলন সমিতি এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সদস্যদের নিয়ে নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা শুরু করেছিলেন বিভিন্ন শাখাগুলিতে। যা আজও বিদ্যমান। বিজেপির বেশিরভাগ অংশই এসেছেন সংঘ থেকে তাঁরা শারীরিকভাবে অত্যন্ত সক্ষম। খোদ রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষও সংঘ থেকে এসেছেন। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। এবং লাঠি খেলাতেও যথেষ্ঠ পারদর্শী।
এবার তবে কি বাংলায় ফিরে আসতে শারীরিকভাবে সক্ষম হিন্দুত্ববাদীদের ঠেকাতেই এই শরীরচর্চার নিদান দিল বঙ্গ সিপিএম।
সম্প্রতি প্রকাশিত ৩ নম্বর পার্টি চিঠিতে তাই কিন্তু বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ক্যাডার ও সদস্যদের সুস্থ এবং সতেজ রাখতে শারীরিক ব্যায়াম আমাদের প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। পার্টি স্কুলের বিষয়ে শারীরিক প্রশিক্ষণকে যুক্ত করতে হবে।’
আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, ‘বিমান বসুর বয়স হয়েছে তিনি যেন শারীরিক কসরত না করেন।’
অন্যদিকে সংঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রধান জিষ্ণু বসু বলেন, ‘শুধু আমাদের পদ্ধতি অনুকরণ করলেই হবে না। ওদের দেশভক্তি শিখতে হবে। ওদের তো দেশ সমন্ধে কোনও ধারণাই নেই। ওরা মনে করে টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে দেশ হিন্দুত্ববাদীদের সাফল্য আসছে বলেই এই নকল করার প্রবণতা সিপিএমের।’
শুধু শরীরচর্চা নয়, বাংলার ধর্মীয় স্থানগুলোতেও নিজেদের দখল কায়েম করতে চায় সিপিএম। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মন্দির এবং অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে আরএসএস এবং তাদের সংগঠনগুলির ওপর ছেড়ে দেওয়া য়ায় না। তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে। সেখানে সিপিএম হস্তক্ষেপ করতে সমর্থ হবে সেখানে মন্দির পরিচালনায় ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতাসম্পন্ন বিশ্বাসী বা ভক্তরা যাতে থাকতে পার তা দেখতে হবে।’ কেরলে নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাও জানানো হয়েছে চিঠিতে। এতদিন বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে বইয়ের স্টল দিলেও কখনও সরাসরি সিপিএমের নেতা-কর্মীদের এতে যোগদান করতে শোনা যায়নি। বরঞ্চ তা ছিল দলের নীতি বিরুদ্ধ কাজ। তাই ভারতের ধর্মীয় মনীষিরা চিরকালই ব্রাত্য ছিলেন সিপিএমের কাছে।
প্রাক্তনমন্ত্রী সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা সুভাষ চক্রবর্তী একবার তারাপীটে গিয়ে মা কালীর দর্শন করেছিলেন বলে ব্যাপক সমলোচনার মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে সিপিএমে যুব ও মহিলা সদস্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাম ভোট রামে চলে যাওয়া তবে কি সিপিএমকে বাধ্য করছে কট্টর নাস্তিকতার আওতার বাইরে বেরিয়ে নরম হিন্দুত্বের কথা বলতে। ইতিমধ্যেই দলের বিভিন্ন পোষ্টার ও লেখায় কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ, চৈতন্যদেব বা বিবেকানন্দ উদ্ধৃতি কিন্তু তারই ইঙ্গিত বহন করে।
বিষয়টি নিয়ে সংঘের দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্র প্রচারক বিপ্লব রায় বলেন, ‘ আরএসএসের আদলে যুবক বিমানদা ও অনান্যরা কিশোর বাহিনী সংগঠন শুরু করেছিলেন। সেই সংগঠনের তো নাম গন্ধ শোনা যায় না। আরএসএসওয়ালারা ৯৫ বছর ধরে নিজের ট্যাঁকের পয়সা খরচ করে ঘরের খেয়ে মনের মানুষ খোঁজা, আর একসঙ্গে চলা-একসঙ্গে বলা-একসঙ্গে করা- এটুকু করেছে মাত্র। আজও করে। ওঁনারা আবার চেষ্টা করুন।
যুগশঙ্খ
