'বেদ' একটি মাত্র নির্দিষ্ট কোন গ্রন্থের নাম নয়। 'বেদ' কথার অর্থ জ্ঞানরাশি যা সত্যদ্রষ্টা আর্য ঋষিদের সাধনা, অধ্যবসায় এবং অভিজ্ঞতার সন্মিলিত ফসল। 'বেদ' মানুষকে নির্ভিক হয়ে সত্য অনুসন্ধানে এবং 'বেদ'কেও অতিক্রম করার বা সম্বৃদ্ধ করার আহ্বান জানায়। সমগ্র হিন্দু ধর্মের ভিত্তি হল 'বেদ'। বেদের মতে ব্রহ্ম বা ঈশ্বর সর্ব ভূতে বিরাজমান। এই জগৎ তারই প্রকাশ। তিনিই প্রতিটি মানুষে আছেন। সবাই 'অমৃতস্য পুত্রাঃ'(অমৃতের সন্তান)।
বৈদিক 'বর্ণভেদ প্রথা'(caste system) রচিত হয় মানুষের গুণ, যোগ্যতা, দক্ষতা ইত্যাদি মানদন্ডের বিচারে। এবং এটা কখনই 'বংশগত' নয়। বেদের মতে 'ব্রাহ্মণ' কুলে জন্মগ্রহণ করলেই তাকে 'ব্রাহ্মণ' বলা যায় না। এর জন্য তাকে সেই মানদন্ডের বিচারে উত্তীর্ণ হতে হবে। 'দ্বিজ' শব্দটি ঠিক এই অর্থের তাৎপর্যই বহন করে।
কিন্তু কালের স্রোতে কিছু ক্ষমতালোভী স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বারা, মানুষের অজ্ঞতার এবং ভুল ব্যাক্ষার দ্বারা ধীরে ধীরে 'বর্ণাশ্রম' বংশগত রূপ নিয়েছে। এটা খুবই দুঃখ এবং আশঙ্কার বিষয় যে এই কক্ষচ্যুত রীতিই আজ মহীরুহ হয়ে মানুষে-মানুষে বিদ্বেষ আর অবহেলার কারণ হয়েছে। হয়েছে সামাজিক ব্যধিতে পরিণত। আবার একটু গভীরে গেলে বোঝা যায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা লাভে 'Caste Based Reservation' সংগোপনে বিক্ষোভের প্রাচীর তুলে এই ব্যাধিকে আজ আরও প্রকট করে তুলেছে। এই প্রথা দেশের সার্বিক মান উন্নয়নের জন্যও সুখকর নয়।
সামাজিক বর্ণগত(caste based) বিভেদ-বৈষম্যের অন্ধকার ঘোচাতে আজ বেদের সেই আলোকবর্তিকা সকলের মাঝে তুলে ধরার সময় এসেছে। একাজে যথোপযুক্ত শিক্ষার বিস্তারে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এর শুরুটা প্রাথমিক শিক্ষাস্তর থেকেই করতে হবে।
ভারতবর্ষে দারিদ্র্যতা প্রচুর। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-স্বাস্থ্য-শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক চাহিদাগুলোর নিরসনে সরকার পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য ও পরিকাঠামো প্রদান করুক। 'অনুকম্পা' নয় 'যোগ্য' করুক। মাথা তুলে দাঁড় করাক। আর সমস্ত ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিরাই যোগ্য অধিকার ও সন্মান পাক। অনেক প্রতিকূলতা আছে। অনেক পথ চলা বাকি আছে। বিশ্বাসী, অচিরেই 'জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন' পাবো।
বৈদিক 'বর্ণভেদ প্রথা'(caste system) রচিত হয় মানুষের গুণ, যোগ্যতা, দক্ষতা ইত্যাদি মানদন্ডের বিচারে। এবং এটা কখনই 'বংশগত' নয়। বেদের মতে 'ব্রাহ্মণ' কুলে জন্মগ্রহণ করলেই তাকে 'ব্রাহ্মণ' বলা যায় না। এর জন্য তাকে সেই মানদন্ডের বিচারে উত্তীর্ণ হতে হবে। 'দ্বিজ' শব্দটি ঠিক এই অর্থের তাৎপর্যই বহন করে।
কিন্তু কালের স্রোতে কিছু ক্ষমতালোভী স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বারা, মানুষের অজ্ঞতার এবং ভুল ব্যাক্ষার দ্বারা ধীরে ধীরে 'বর্ণাশ্রম' বংশগত রূপ নিয়েছে। এটা খুবই দুঃখ এবং আশঙ্কার বিষয় যে এই কক্ষচ্যুত রীতিই আজ মহীরুহ হয়ে মানুষে-মানুষে বিদ্বেষ আর অবহেলার কারণ হয়েছে। হয়েছে সামাজিক ব্যধিতে পরিণত। আবার একটু গভীরে গেলে বোঝা যায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা লাভে 'Caste Based Reservation' সংগোপনে বিক্ষোভের প্রাচীর তুলে এই ব্যাধিকে আজ আরও প্রকট করে তুলেছে। এই প্রথা দেশের সার্বিক মান উন্নয়নের জন্যও সুখকর নয়।
সামাজিক বর্ণগত(caste based) বিভেদ-বৈষম্যের অন্ধকার ঘোচাতে আজ বেদের সেই আলোকবর্তিকা সকলের মাঝে তুলে ধরার সময় এসেছে। একাজে যথোপযুক্ত শিক্ষার বিস্তারে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এর শুরুটা প্রাথমিক শিক্ষাস্তর থেকেই করতে হবে।
ভারতবর্ষে দারিদ্র্যতা প্রচুর। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-স্বাস্থ্য-শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক চাহিদাগুলোর নিরসনে সরকার পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য ও পরিকাঠামো প্রদান করুক। 'অনুকম্পা' নয় 'যোগ্য' করুক। মাথা তুলে দাঁড় করাক। আর সমস্ত ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিরাই যোগ্য অধিকার ও সন্মান পাক। অনেক প্রতিকূলতা আছে। অনেক পথ চলা বাকি আছে। বিশ্বাসী, অচিরেই 'জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন' পাবো।
