আগামী ১৪-০২-১৮ ইং শিব চতুর্দ্দর্শীতে ভগবান শিবের মাথায় জল ও বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয় ?
ব্রতকথাঃ বহু কাল আগে বারাণসী তে এক ব্যাধ ছিল।দিবারাত্রি সে শুধু জীব হত্যা করত।একদিন ব্যাধ শিকার করতে গিয়ে সারা দিনে কোন শিকার পেলোনা শেষে একটি পাখি দেখতে পেলো এবং পাখিটিকে মেরে নিয়ে যেতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো অবসেষে ব্যাধ বাড়ির দিকে রওনা হল। কিন্তু ব্যাধ কিছুটা এগোতেই রাত্রি হয়ে গেল।অন্ধকার রাত্রিতে পথ দেখা যায় না।সে তখন একটা গাছের নিচে আশ্রয় নিল।আর মনে মনে ভাবতে লাগলো সারা দিন ভরে এত পরিশ্রম করে সামান একটি পাখি পেলাম এতেতো আমাদের দুজনের খাবার হবেনা কিন্তু হটাৎ গভীর জঙ্গলে হিংস্র পশুর ডাক শুনে সে ভয়ে গাছের ডালে উঠে বসল। আর গাছটি ছিল বেল গাছ, তখন ব্যাধ চিন্তা করলেন আজ আর বাড়ি ফেরা হবে না তাই আজ রাতরীটা গাছে বসে কাটিয়ে দিবে এসব কথা ভাবতেই ব্যাধের চোখে ঘুম এসেগেল হটাৎ দমকা বাতাসে ব্যাধের ঘুম ভেংগে গেল আর ব্যাধ ভাবলেন আজ বুঝি এখানেই আমার মূত্যু হবে সে তার মনের ভয় কাটানোর জণ্য ভগবান শিবকে সরন করলেন আর মনে মনে বলতে লাগলেন, ওঁ নমঃ শিবায় এই মন্ত্র জব করা জন্য ব্যাধের মনে অনেক সাহশ এসে গেলো ব্যাধ তখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ব্যাধ তখন গাছের ডালে উঠে দারালো কিন্তু গাছের নিচে ছিল একটা শিব লিঙ্গ।ব্যাধ গাছের ডালে বসে নড়ে চড়ে উঠতেই শিশিরে ভেজা একটা বেল পাতা খসে পড়ল ব্যাধের শরিলকে স্পর্স করে সেই শিব লিঙ্গের মাথায়।সেই দিন ছিল শিব চতুর্দ্দশী।ব্যাধ ও ছিল উপবাসী।তাই শিবের মাথায় বেল পাতা পরতেই শিব সন্তুষ্ট হলেন।ব্যাধ কিছুই জানতেন না, তবু তার শিব চতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ করা হল।অবশেষে ব্যাধ বাড়ি ফিরে এল, সকলে তার জন্য চিন্তা করছিল।ব্যাধ ফিরে আসতে তার বৌ ঘরে সামান কিছু খাবার ছিল সে গুলো তাকে খেতে দিল।এমন সময় এক অতিথি এলে, ব্যাধ তাকে খাবার গুলি দিয়ে দিল।তাতে ব্যাধকে সারা দিন সারা রাত উপবাস থাকতে হল সেই কারনে ব্যাধের পূর্ণের ফল লাভ হলো। কিছু দিন বাদেই ব্যাধ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন।যমদূতেরা তাকে নিতে আসল কারন ব্যাধ জীবনে অনেক প্রাপ করেছে তাই তাকে যমলোকে যেতে হবে কিন্তুু এমন সময় শিবদূতেরাও এল।শিবদূতদের দেখে যমদূতেরা বলেন আপনারা এখানে কিসের জণ্য এসেছেন তখন শিবদূতেরা বলেন সয়ং মহাকাল মহাদেব তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে কৈলাশে প্রভু শিবের সরনে নিয়ে যেতে হবে যমদূতেরা বলেন কালদেব ধর্মের রাজা যমরাজ তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে যমলোকে নিয়ে যেতে হবে তখন তাদের দুজনের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বাধল, যম দূতেরা হেরে গেল, শিব দূতদের কাছে তখন শিবদূতেরা ব্যাধ কে কৈলাসে নিয়ে গেল।যম দূতেরাও তাদের পেছনে পেছনে গেল।কৈলাস দ্বারে নন্দী পাহারা দিচ্ছিলেন।সে যমদূতদের সবকথা বলল।সেকথা শুনে তারা যমরাজ কে গিয়ে জানালো।যমরাজ বললেন-হ্যাঁ যে শিব ভক্ত তারা যোদি মুক্তি লাভ করে তাহলে তাদের উপরে জম রাজের কোন হাত থাকেনা তারা শিব লোকে চলে যায়। আর যারা ব্রক্ষার ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে ব্রক্ষ লোকে চলে যায়। আর যারা বিষ্ণু ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে বৈকুন্ঠে চলে যায়। আর যে শিব চতুর্দ্দশী ব্রত করে এবং যে বারাণসী ধামে মারা যায়, তার উপরে আমার কোন অধিকার থাকে না।তার পর থেকে এই ব্রতের কথা চারিদিকে প্রচলিত। হর হর মহদেব
ব্রতকথাঃ বহু কাল আগে বারাণসী তে এক ব্যাধ ছিল।দিবারাত্রি সে শুধু জীব হত্যা করত।একদিন ব্যাধ শিকার করতে গিয়ে সারা দিনে কোন শিকার পেলোনা শেষে একটি পাখি দেখতে পেলো এবং পাখিটিকে মেরে নিয়ে যেতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো অবসেষে ব্যাধ বাড়ির দিকে রওনা হল। কিন্তু ব্যাধ কিছুটা এগোতেই রাত্রি হয়ে গেল।অন্ধকার রাত্রিতে পথ দেখা যায় না।সে তখন একটা গাছের নিচে আশ্রয় নিল।আর মনে মনে ভাবতে লাগলো সারা দিন ভরে এত পরিশ্রম করে সামান একটি পাখি পেলাম এতেতো আমাদের দুজনের খাবার হবেনা কিন্তু হটাৎ গভীর জঙ্গলে হিংস্র পশুর ডাক শুনে সে ভয়ে গাছের ডালে উঠে বসল। আর গাছটি ছিল বেল গাছ, তখন ব্যাধ চিন্তা করলেন আজ আর বাড়ি ফেরা হবে না তাই আজ রাতরীটা গাছে বসে কাটিয়ে দিবে এসব কথা ভাবতেই ব্যাধের চোখে ঘুম এসেগেল হটাৎ দমকা বাতাসে ব্যাধের ঘুম ভেংগে গেল আর ব্যাধ ভাবলেন আজ বুঝি এখানেই আমার মূত্যু হবে সে তার মনের ভয় কাটানোর জণ্য ভগবান শিবকে সরন করলেন আর মনে মনে বলতে লাগলেন, ওঁ নমঃ শিবায় এই মন্ত্র জব করা জন্য ব্যাধের মনে অনেক সাহশ এসে গেলো ব্যাধ তখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ব্যাধ তখন গাছের ডালে উঠে দারালো কিন্তু গাছের নিচে ছিল একটা শিব লিঙ্গ।ব্যাধ গাছের ডালে বসে নড়ে চড়ে উঠতেই শিশিরে ভেজা একটা বেল পাতা খসে পড়ল ব্যাধের শরিলকে স্পর্স করে সেই শিব লিঙ্গের মাথায়।সেই দিন ছিল শিব চতুর্দ্দশী।ব্যাধ ও ছিল উপবাসী।তাই শিবের মাথায় বেল পাতা পরতেই শিব সন্তুষ্ট হলেন।ব্যাধ কিছুই জানতেন না, তবু তার শিব চতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ করা হল।অবশেষে ব্যাধ বাড়ি ফিরে এল, সকলে তার জন্য চিন্তা করছিল।ব্যাধ ফিরে আসতে তার বৌ ঘরে সামান কিছু খাবার ছিল সে গুলো তাকে খেতে দিল।এমন সময় এক অতিথি এলে, ব্যাধ তাকে খাবার গুলি দিয়ে দিল।তাতে ব্যাধকে সারা দিন সারা রাত উপবাস থাকতে হল সেই কারনে ব্যাধের পূর্ণের ফল লাভ হলো। কিছু দিন বাদেই ব্যাধ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন।যমদূতেরা তাকে নিতে আসল কারন ব্যাধ জীবনে অনেক প্রাপ করেছে তাই তাকে যমলোকে যেতে হবে কিন্তুু এমন সময় শিবদূতেরাও এল।শিবদূতদের দেখে যমদূতেরা বলেন আপনারা এখানে কিসের জণ্য এসেছেন তখন শিবদূতেরা বলেন সয়ং মহাকাল মহাদেব তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে কৈলাশে প্রভু শিবের সরনে নিয়ে যেতে হবে যমদূতেরা বলেন কালদেব ধর্মের রাজা যমরাজ তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে যমলোকে নিয়ে যেতে হবে তখন তাদের দুজনের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বাধল, যম দূতেরা হেরে গেল, শিব দূতদের কাছে তখন শিবদূতেরা ব্যাধ কে কৈলাসে নিয়ে গেল।যম দূতেরাও তাদের পেছনে পেছনে গেল।কৈলাস দ্বারে নন্দী পাহারা দিচ্ছিলেন।সে যমদূতদের সবকথা বলল।সেকথা শুনে তারা যমরাজ কে গিয়ে জানালো।যমরাজ বললেন-হ্যাঁ যে শিব ভক্ত তারা যোদি মুক্তি লাভ করে তাহলে তাদের উপরে জম রাজের কোন হাত থাকেনা তারা শিব লোকে চলে যায়। আর যারা ব্রক্ষার ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে ব্রক্ষ লোকে চলে যায়। আর যারা বিষ্ণু ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে বৈকুন্ঠে চলে যায়। আর যে শিব চতুর্দ্দশী ব্রত করে এবং যে বারাণসী ধামে মারা যায়, তার উপরে আমার কোন অধিকার থাকে না।তার পর থেকে এই ব্রতের কথা চারিদিকে প্রচলিত। হর হর মহদেব
